আওয়ামী লীগ কোন পথে যাচ্ছে?
আওয়ামী লীগ কোন পথে যাচ্ছে? নিবেদিত ত্যাগি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ভক্ত অনুরাগী অনুসারী নৌকার নামে উন্মাদ মাঠ পর্যায়ের এবং প্রবাসের লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মীদের অতি কৌশলে বি এন পি জামাত তথা স্বাধীনতা বিরোধী, আওয়ামী বিরোধী অনুপ্রবেশকারী নব্য মুজিবকোট পরিধান করে জয় বাংলা শ্লোগানে মূখরিত করছে ৩২, ২৩ ও ৩ নং ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ অফিস এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতর। আমার মত করে স্পষ্ট করে লেখেনা বা বলে না বলার সাহস পায়না পাছে আবার ভুয়া মামলা খেতে হয়; যেমন ভূয়া মামলা খেলো নুরুল আজিম রনি ইকরাম মৃধা এবং হাজারো নাম না জানা চেনা প্রকৃত মুজিবপ্রেমী হাসিনা প্রেমী আওয়ামী কর্মীরা । বি এন পি জামাতের এই কৌশলের নিকট আওয়ামী লীগ ধরাশায়ী হচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এর পরিনতি দেখবে । সেদিন ইকরাম মৃধা রনিদের হয়তো কাজে লাগবে কিন্তু আজ সরকার ক্ষমতায় ।
সরকারের মন্ত্রী প্রকৃত অপরাধী ধূর্ত স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে প্রেম করছে লেন দেন করছে। সদালাপে মশগুল এবং ওদের বিরুদ্ধে আনিত প্রমানাদি থাকা সত্বেও অভিযোগ গুলো খতিয়ে দেখছে না। অনেক মন্ত্রীর সাথে এদের গভীর প্রেম। যেমন মালদ্বীপের হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল আওয়াল ও তৃতীয় সচিব বিহারীর বংশধর হারুন অর রশিদ সম্পর্কে মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী জনাব মোঃ শাহরিয়ার আলম সাহেব আমার উন্থাপিত সকল অভিযোগ খন্ডন করে উলটো পক্ষে সাফাই গাইলেন এবং মালদ্বীপে ঘটে যাওয়া নির্যাতিত ইকরাম মৃধার বিষয়টি এড়িয়ে গেলন, যে বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নির্দেশ দিয়েছিলেন ইকরাম মৃধাকে আবার মালদ্বীপে প্রেরনের। আমরা পাঠার বলি নাকি আওয়ামী লীগ নিজেই আত্মহনণের পথ বেচে নিচ্ছে? ভারতে প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধার কথা শুনবার সময় হয়না বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক সাহেবের বরং উল্টো খালেদা জিয়ার পিএসও মেজর জেনারেল সুবিদ আলী ভূইয়ার কথায় মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। তাহলে আওয়ামী লীগ কি চায়? বন্দুক? নিবেদিত ত্যাগি প্রকৃত মাঠ কর্মী বিহীন বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে থেকেছে এমন ইতিহাস অতীতে কোন সরকারেরি অস্তিত্ব রাখতে সক্ষম হয়নি। নিশ্চিনহ হয়ে গেছে জাতীয় পার্টী এবং বি এন পি। কারন যে কর্মী দিন রাত গ্রামে গঞ্জে মাঠে ঘাটে হাটে বাজারে শহরে বন্দরে ইউনিয়নে উপজেলায় জেলায় তথা ঘরে ঘরে গিয়ে সর্ব স্তরের জনগণের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা প্রার্থীর সংযোগ ঘটায়, ভোট সংগ্রহ করে, সে কর্মীদের অপমান তাচ্ছিল্য অগ্রাহ্য অবহেলা অপদস্থ করে সকলেই অতীতে কলংক মাথায় নিয়ে ক্ষমতা ছেড়েছে। সারা দেশে কোন এলাকায় কোন আওয়ামী লীগ নেতার পিছনে গুটি কয়েক চাঁদাবাজ ধান্দাবাজ অনুপ্রবেশকারী চামচা তোষামোদকারী ব্যতীত আসল কর্মীরা নেই; এ কথা নিজের মন গড়া বক্তব্য নয়; গুগল, ইয়াহু, টুইটর, ইনষ্টগ্রাম পিন্টারেষ্ট ইত্যাদি খুললেই সর্বত্র একই অভিযোগ "কাউয়া" হাইব্রীড" নবাগত ফার্মের মুর্গী । এ সকল কাউয়া হাইব্রীড ফার্মের মূরগী এসেছে ক্ষমতার সোনার হরিণের সন্ধানে" এ কথা কেউ না জানলেও কেউ অনুভব না করলেও ব্যক্তিগতভাবে আমি মর্মে মর্মে অনুভব করি কারন এ প্রশাসন, এ দেশ, এ সচিবালয়, এ গণ ভবন, এ প্রধানমন্ত্রীর অফিস, ৩২ নং ২৩ নং এ আমার বিচরণ বিগত ৪৭টি বছর। না কোন নেতা ছিলাম না। নেতা হতেও চাইনি। মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। জাতিরজনক সচিবালয়ে একটিছোট চাকুরী ও ১০০০ টাকা দিয়ে মূল্যায়ন করেছিলেন বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করে দোয়া করেছিলেন। সাথে ছিলেন তাজুদ্দিন আহমেদ। সে কারনেই এ দেশের সরকারী আধা সরকারি বেসরকারী স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাসহ গোটা প্রশাসন এবং রাজনৈতিক জগতটাকে অত্যন্ত নিকট থেকে সুনিপুনভাবে অর্থাৎ পুঙ্খানুপুঙ্খ রুপে পর্যবেক্ষণ করার যথেষ্ট সুযোগ হয়েছিল। জীবনের ১৯ টি বছর সচিবালয়ে চাকুরী করে সে লব্ধ অভিজ্ঞতা এবং পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে মাঠে কাজ করার তিক্ত অভিজ্ঞতা এ কথাই বলেঃ আওয়ামী লীগ কোন পথে যাচ্ছেঃ যত উন্নয়ন হোক, যতই ডিজিটাল বাংলাদেশের জয় গান হোক; যতই ঢাক ঢোল পিটানো হোক, যতই সড়ক জনপদ পীচ ঢালাও করা হোক, যতই বিশাল অট্টালিকা ইমারত গড়ে উঠুক, যতই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রেরণ করা হোক, যতই মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে জাতি সংঘের স্বীকৃতি মিলুক, যতই শেখ হাসিনাকে মাদার অফ হিউম্যানিটি উপাধিতে ভূষিত করা হোক, যতই পদ্মা সেতুর সফল নির্মাণ হোক মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানকারি নিজের জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা সেই সব সোনার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক মূল্যায়ন না করা পর্যন্ত আমি বলব আমি আওয়ামী লীগের অর্জন শুন্যের কোঠায়। কেউ মানবেন না জানি। কেউ খেপে উঠবেন খ্যাপার মতই, সাপের মত ফনা তুলবেন বিশদগার গড়ে তুলবেন আমার বিরুদ্ধে সমালোচনার কিন্তু মিয়া ভাই কথা তো সে একটাই থেকে যাবে যে আমি ভারতে প্রশিক্ষন নেয়া মুক্তিযোদ্ধা আমার নাম তালিকায় নেই কেন> কেন মন্ত্রী অপদস্থ করে আমাদের, তাও আবার আওয়ামী লীগের মন্ত্রী? কেন ইকরাম মৃধারা ১৫ই আগষ্ট পালনের অপরাধে মালদ্বীপ থেকে চিরতরে বিতাড়িত হয়? কেউ জবাব দিতে পারবেন না; তাই প্রশ্ন থাকবে আপনাদের নিকটঃআওয়ামী লীগ কোন পথে যাচ্ছে>> জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু মোকতেল হোসেন মুক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা কন্ঠশিল্পী সঙ্গীত শিক্ষক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সময়৭১ মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ, মালদ্বীপ বঙ্গবন্ধু পরিষদ; সাধারন সম্পাদক, মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ কম্যুনিটি এসোসিয়েশন
muktimusician@gmail.com<muktishena71@gmail.com>